বাচ্চাদের টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না


বাচ্চাদের টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না আজকের এই আলোচনায় থাকছে ছোট বাচ্চাদের টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না সম্পর্কে বিস্তারিত বিষয়বস্তু৷ এর সঙ্গে আপনাদের জন্য আরো থাকছে টনসিল হলে করণীয় কি সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সমূহ৷

বাচ্চাদের-টনসিল-হলে-কি-কি-খাওয়া-যাবে-না

টনসিন হলে দ্রুত সুস্থ তা লাভের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়৷ যার কারণে আমাদের আজকের পোস্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন যেন বাচ্চাদের টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবেনা সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেতে পারেন৷

পেজ সূচিপত্র:বাচ্চাদের টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না

বাচ্চাদের টনসিল হলে কি  কি খাওয়া যাবেনা 

সাধারণত টনসিল হল গলার দুপাশে অবস্থিত দুটি রশিকা গ্রন্থী যার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে৷ তবে যখন এই টনশীল প্রদাহ বা সংক্রমণের শিকার হয় তখন তা ব্যথা জ্বর ও অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে৷ বাছাই করার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ কিছু খাবার সংক্রমনে আরো বেশি বাইরে যেতে পারে টনসিল এবং ব্যথা বাড়ানোর কারণ হয়ে দাঁড়ায়৷ তাই যে সকল খাবার আমাদের এড়িয়ে চলা উচিত তা নিম্নরূপে আলোচনা করা হলো৷

  • টনসিল আক্রান্ত হলে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত ঝাল খাবার খাওয়া উচিত নয়৷ যেমন মরিচ গরম মসলা লাল ও কালো মরিচ যুক্ত খাবার৷ এগুলো গলার সংবেদনশীল শিশুকে আরও বেশি উত্তেজিত৷ করতে পারে এবং ব্যথা বাড়াতে পারে৷
  • আইসক্রিম ঠান্ডা পানীয় কোল্ড ড্রিংস এবং বরফ দেওয়ার জুস খেলে টনসিলের সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে৷ ঠান্ডা খাওয়ার গলার সংক্রমণকে দীর্ঘস্থায়ী করে তোলে৷
  • চিপস প্রিন্স ফাইভ পিয়াজু বেগুনি ফাস্ট ফুড জাতীয় ভাজাপোড়া খাবার এগিয়ে চলতে হয়৷ এগুলো গলায় লেগে গিয়ে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে৷
  • লেবু আচার টক দই টক ফল ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে। টক খাবারে থাকা অ্যাসিড গলার প্রদাহ কে আরো তীব্র করে তুলতে পারে৷
  • দুধ পনির ও দই এর মত বৃদ্ধ জাত খাবার অনেক সময় গলায় শেষ মা জমিয়ে দেয় যা গলা ব্যথা কে আরো বাড়িয়ে তুলে৷
  • কফি চা এবং সোডা যুক্ত পানি এড়িয়ে চলা উচিত কারণ এগুলো গলা শুষ্ক করে দিতে পারে এবং আরামদায়ক নয়। এ ছাড়া টনসিল হলে করণীয় হবে তা সম্পূর্ণ বিস্তারিত জানতে হয়৷

টনসিল হলে করণীয় কি

টনসিলের সাধারণ সমাধান সময়মতো সঠিক ব্যবস্থা না নিলে সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে৷ জটিলতা দেখা দিতে পারে তাই ঘরোয়া উপায় এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক পদক্ষেপ নিতে হয় বা নেওয়া উচিত বা নেওয়া জরুরী৷ তাছাড়া সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য জানতে হবে টনসিল হলে আমাদের করণীয় কি তার সম্পর্কে৷ তাই সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো৷
  • দিনে তিন থেকে চার বার হালকা কুসুম গরম পানি লবণ মিশিয়ে গার্গল করলে গলা সংক্রমণ কমে সাহায্য করে এবং ব্যথা ও ফলা ভাব দূর হয়৷
  • পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও আরাম দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ বেশি কথা বলা বা চিৎকার করা থেকে বিরত থাকতে হবে৷ যাতে গলার উপর চাপ না পরে এবং সংক্রমণ আরো না বাড়ে৷
  • গলা আদ্র রাখতে প্রচুর কুসুম গরম পানি পান করা উচিত। এটি গলার শুষ্কতা দূর করে এবং আরামদায়ক অনুভূতি দেয়৷
  • টনসিল হলে এমন খাবার খাওয়া উচিত যা সহজে সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে৷ উষ্ণ রূপ নরম খিচুড়ি সিদ্ধ ডিম খেলে উপকার পাওয়া যায়৷
  • মধু ও আদার সংমিশ্রণে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে৷ যা গলা নরম করে এবং সংক্রমণ কমায় গরম পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করলে দ্রুত আরাম পাওয়া যায় এছাড়া আধা চাবা তুলসী চা পান করলে উপকার পাওয়া যায়৷
  • আইসক্রিম ঠান্ডা পানি গরম চা বা কফি খেলে গলার সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে তাই অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে৷
  • যদি টনসিল এর সংক্রমণ দীর্ঘস্থায়ী হয় তবে উচ্চমাথা জ্বর আসে বা শ্বাস নিতে সমস্যা হয় তখন দেরি না করে চিকিৎসকের নিকটে যেতে হবে৷, প্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করা প্রয়োজন হতে পারে৷
এছাড়া বাচ্চাদের টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবেনা সেটা জানার পর তাদের খাবার নির্বাচন করতে হবে বাচ্চাদের জন্য সে খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে৷

টনসিল হলে কি খাওয়া উচিত 

টনসিল হলে সঠিক খাবার গ্রহণ করলে দ্রুত সুস্থতা লাভ করা সম্ভব৷ নরম ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করলে সংক্রমণ কমতে পারে এবং ব্যথা ও অস্ত্রুতি থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। টনসিল হলে কি কি খাবার খেতে হবে অর্থাৎ কি কি খাওয়া উচিত তার নিম্নে উল্লেখ করা হলো৷
  • গরম পানি তে লবণ মিশিয়ে গার্গল করা এবং সেই পানি পান করা গলা ব্যথা কমাতে সহযোগিতা করে৷ লবণ জীবাণুশক হিসেবে কাজ করে এবং কাউন্সিলের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে৷
  • গরম ভেষজ চা, যেমন আদা চা, তুলসীপাতা চা, লেবু চা, টনসিলের ব্যথা উপশম করতে পারে৷
  • গরম পানির সঙ্গে মধু ও আদা মিশিয়ে খেলে এটি গলা নরম রাখে এবং ব্যথা কমায়৷
  • মুরগি সুপ, শাক সবজির সুপ আটমিল নরম খিচুড়ি বা সেমাই খেলে টনসিলের অস্ত্রতি কমে। সুপের গরম ভাব গলায় আরাম এনে দেয় এবং ব্যথা কমাতে সহযোগিতা করায়।
  • দুধ বা দই অল্প পরিমানে কুসুম গরম দুধ খাওয়া যেতে পারে৷ এতে শরীরের শক্তি বাজায় থাকে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করা সহজ হয়।
  • পাকা কলা পেঁপে আপেল সহজ ও অন্যান্য নরম ফল খাওয়া যেতে পারে৷ সারাদিন পর্যাপ্ত গরম পানি পান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷
  • ৷নরম রান্না করার ডিম ভালোভাবে সিদ্ধ করা মাছ বা নরম মাংস খাওয়া যেতে পারে৷ এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়।
বাচ্চাদের টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবেনা আর কোনটি খাওয়া প্রয়োজন তার তালিকা নিয়ে খাওয়ালে বাচ্চাদের টনসিল সমস্যা নিরসনের সাহায্য করবে৷

টনসিল হলে কি কি সমস্যা হয়

সাধারণত টনসিল হচ্ছে আমাদের গলায় অবস্থিত দুটি টিস্যুর একটি অংশ৷ এতে সংক্রমণ হলে বেশি কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ সাধারণ ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে টনসিল ফুলে যায় এবং গলা ব্যথা শুরু হয়৷ ফলে স্বাভাবিকভাবে খাবার খেতে অসুবিধা হয় এবং অনেক সময় কথা বলতেও সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়৷

টনসিল হলে সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা হল গলা ব্যথা এটি সাধারণ তীব্র হতে পারে এবং খাবার বা পানি গিলতে অসুবিধা হয়।৷ অনেক সময় টনসিল ফুলে গেলে মুখ খুলতে কষ্ট হয় এবং স্বর ভেজে যায় এছাড়া টনসিলের ইনফেকশন হলে গলা শুকিয়ে যাওয়া শুকনো কাশি এবং গলায় খুসখুসে অনুভূতি হতে পারে৷ রাতে ঘুমানোর সময় অনেকে শ্বাস নিয়ে কষ্ট হয় বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে এটি বেশি দেখা দেয়৷
অনেক সময় সংক্রমণ সোহেলের অন্যান্য অংশ ও প্রভাব ফেলে৷ জ্বর আসতে পারে শরীর দুর্বলতা অনুভব হতে পারে এবং মাথা ব্যাথা হতে ৷ কিছু ক্ষেত্রে টনসিলার সংক্রমণ টিস্যুগুলিকে ফুলিয়ে তোলে এবং গলায় ব্যথা বাড়াতে পারে৷ । ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হলে পুজ জমে যেতে পারে৷ এবং এটি থেকে দুর্গন্ধযুক্ত নিঃসরণ বের হতে পারে৷


এই টনসিল এর সংক্রমণ দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে এটি ক্রনিক টনসিলাইটিসের রূপ নিতে পারে৷ কিছু ক্ষেত্রে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়লে গলার চারপাশে পুশ জমে যেতে পারে৷ যার চিকিৎসার না করালে মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে৷ আমাদের টনসিল হলে করণীয় কি এবং বাচ্চাদের টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবেনা, প্রথমে জেনে নিতে হবে৷ যেন সমস্যাটি এড়িয়ে চলা যায়৷

বাচ্চাদের টনসিল কেন হয়

বাচ্চাদের মধ্যে টনসিল সংক্রমণের অন্যতম প্রধান কারণ হলো ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ৷ সাধারণত ঠান্ডা লাগা ফ্লু ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে টনসিল ফুলে যেতে পারে৷ শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় দুর্বল হয় বলে তারা সহজে সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকে৷
  • বাচ্চাদের টনসিল হওয়ার আরেকটি কারণ হলো দূষিত খাবার ও পানীয় গ্রহণ করা৷ বাইরে খোলা খাবার খাওয়া অপরিষ্কার হাত দিয়ে মুখে হাত দেওয়া বা ঠান্ডা পানি পান করলে টনসিলের ঝুঁকি বেড়ে যায়৷ আবার শীতকালে ভাইরাসজনিত সংক্রমণ বেশি হয়।
  • পরিবারের মধ্যে কারো টনসিল ইনফেকশন আক্রান্ত হলে বা শিশুর স্কুল বা খেলাধুলার সময় সংক্রমণ সহজে ছড়াতে পারে৷ কারণ টনসিল সংক্রমণ সাধারণত হাঁচি কাশি বা দূষিত জিনিসপত্রের মাধ্যমে বেশি ছড়িয়ে থাকে৷
  • এছাড়া এলার্জি ও ধুলাবালি থেকে ও বাচ্চাদের টনসিল হতে পারে যেসব শিশু ধুলাবালি সংস্পর্শে বেশি আসে তারা শ্বাসকষ্ট বা গলা ব্যথার সমস্যায় পড়তে পারে৷ যেসব খাবারে অতিরিক্ত সংরক্ষণশীল উপাদান থাকে সেগুলো টনসিলের সংক্রমণ বাড়িয়ে তুলতে পারে৷
  • বাচ্চারা প্রায় ঠান্ডা লেগে অসুস্থ হয়ে পড়ে যার ফলে তাদের টনসিলের সমস্যা টনসিলাইতেসে পরিণত হতে পারে৷ যা শিশুর স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস ও খাওয়া দাওয়ার উপর প্রভাব ফেলতে পারে৷
যার জন্য বাচ্চাদের টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবেনা সে সম্পর্কে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে৷ বাচ্চাদের জন্য অতিরিক্ত ঠান্ডা খাবার এবং ঝাল ভাতই লাগতো খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে বা চলুন৷
বাচ্চাদের-টনসিল-হলে-কি-কি-খাওয়া-যাবে-না

বাচ্চাদের টনসিলের লক্ষণ

বাচ্চাদের টনসিল হলে কিছু সাধারণ লক্ষণ দেখা যায়। যেটা দ্রুত চিহ্নিত করা গেলে যথাযথ চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব হয়৷ গলা ব্যথা অন্যতম প্রধান লক্ষণ৷ যা খাবার গিলতে অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে৷ বাচ্চাদের অনেক সময় ব্যাথার কারণে খেতে চায়না এবং অস্বস্তি বোধ করে৷ গেলে গলার ভেতরে অংশ লালচে হয়ে যায় এবং কখনো কখনো হলুদ আবরণে পরিণত হয় বা পড়ে যায়৷
  • জ্বর আসা টনসিলের আরেকটি সাধারণ লক্ষণ সাধারণত এটি ১০০এফ থেকে ১০৪ এফ পর্যন্ত উঠতে পারে ও শরীর দুর্বল করে দেয়৷
  • টনসিল সংক্রমণের কারণে অনেক সময় মাথাব্যথা ও শরীরের ক্লান্তি অনুভব হয়৷ শিশুদের মধ্যে ঘন ঘন ঘুমানোর প্রবণতা দেখা যায় এবং স্বাভাবিক কার্যক্রমের আগ্রহ কমে যায়৷
  • অনেক ক্ষেত্রে টনসিল বড় হয়ে গেলে শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় রাতে ঘুমানোর সময় নাক ডাকার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়৷
  • এছাড়া টনসিল সংক্রমণের ফলে গলা শুকিয়ে যাওয়া এবং খুশখুসে কাশি হতে পারে৷
  • গলা ব্যাথার পাশাপাশি মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়া টনসিলের আরেকটি লক্ষণ৷ এটি সাধারণ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে হয়৷
  • টনসিল বড় হলে অনেক সময় গলার আশেপাশে লিঙ্ক নোট ভুলে গিয়ে ব্যথা অনুভব হয়৷
  • কিছু শিশু টনসিল সংক্রমণের কারণে কানে ব্যথা অনুভব করতে পারে। কারণ গলা ও কানের স্নায়ু গুলো পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত থাকে৷
সকলের টনসিল হলে করণীয় কি তার নিয়ে ধারণা থাকতে হবে৷ বাচ্চাদের টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবেনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া উচিত৷ আর যেসব খাবার খেলে এসব জটিলতা  বাড়িতে পারে তা অবশ্যই খাবার হিসেবে পরিহার করা উচিত৷

বাচ্চাদের টনসিলের ঘরোয়া চিকিৎসা

বাচ্চাদের টনসিল হলে ঘরোয়া উপায়ে এটি কমানোর বেশ কিছু কার্যকরী পদ্ধতি রয়েছে৷ গরম পানি ও লবণ দিয়ে গাঁড় গোল করানো অত্যন্ত উপকারী৷ এটি গলার জীবাণু ধ্বংস করে এবং প্রদা কমাতে সাহায্য করে৷ মধু ও আদার রস মধু ও আদার রস একসঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ালে গলার ব্যথা দ্রুত  উপশম হয়৷ মধুর মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক এন্টি ব্যাকটেরিয়ার উপাদান সংক্রমণ প্রতিরোধ সাহায্য করে৷ আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান টনসিলের প্রদাহ কমাতে কার্যকরী উপাদান৷

লেবু ও গরম পানি লেবু ও গরম পানি পান করানো টনসিল সংক্রমণ কমানোর একটি কার্যকর উপায়৷ লেবুর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সংক্রমনের বিরুদ্ধে কাজ করে৷ এছাড়া তুলসী পাতার রস ও মধু একসঙ্গে খাওয়ালে গলা ব্যথা কমে এবং সংক্রমণ দ্রুত নিরাময় হয়৷ গরম তরল শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণ গরম তরল পান করানো উচিত৷ গরম সুপ হারবাল চা বা মধু মিশ্রিত গরম পানি ইত্যাদি এগুলো গলা, আর্দ্র রাখতে এবং সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে৷ এছাড়া ঠান্ডা আবহাওয়া শিশুকে অতিরিক্ত ঠান্ডা পরিবেশে রাখা উচিত নয় এবং ধুলাবালি থেকে দূরে রাখা উচিত৷বাচ্চাদের টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না

নুন জলে গর্গল ও গরম জলে মধু মিশিয়ে খাওয়া

টনসিল সহজে কোন ধরনের গলা ব্যাথার সমস্যার প্রধান ওষুধ হলো নুন জলে গার্গল৷ নুন জলে গার্গল করলে টনসিলের প্রদাহ কমে৷ ফলে ফোলা ও ব্যথার সমস্যা থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায় এক্ষেত্রে এক গ্লাস গরম জলে একটি চিমটি নুন ফেলে দিতে হবে৷ তারপর সন্তানকে বলুন গার্গল করতে৷ তবে মুশকিল হলো খুব ছোট বাচ্চারা গারগোল করতে পারে না তাই তাদের ক্ষেত্রে এই অস্ত্র একদমই কার্যকর নয়৷ সেক্ষেত্রে অন্য উপায় খুঁজে নেওয়া জরুরী৷
এই সমস্যার সমাধান করতে চাইলে এক গ্লাস গরম জলে এক ছোট চামচ মধু মেশান৷ এরপর সে জল সহযোগ্য অবস্থায় এলে শিশুকে ধীরে ধীরে খাওয়ান৷ এর মধ্যে সমস্যা অনেকটাই কমবে৷ বিশেষজ্ঞদের কথায় মধুতে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক্যাল প্রপার্টিজ৷ এই কারণে টনসিলের সংক্রমণ প্রশমিত করতে মধুর জরি মেলা ভার৷ তাই সন্তান এই সমস্যার ভুলেই এখন থেকে গরম জলে মধু মিশিয়ে খাওয়ান। এতে ফল পাবেন খুব তাড়াতাড়ি৷বাচ্চাদের টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না

ইউমিডিফায়ারেই সমস্যা মিটবে

পরিবেশ শুষ্ক হলে গলা ব্যাথার সমস্যা কয়েকটি গুণ বৃদ্ধি পেতে পারে৷ তাই টনসিলের সমস্যা কমাতে চাইলে ঘরে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করতে হবে৷ এ যন্ত্রের মাধ্যমে বাঁচাতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়ালে বাচ্চা টনসিলের ব্যথা অনেকটা কমে যাবে এমনই দাবি করেছেন হেলথ লাইন৷ বিশেষত ভাইরাল টনসিল এর সমস্যায় হিউমিডিফায়ার অত্যন্ত কার্যকরী৷ এক্ষেত্রে শোয়ার ঘরে হিউমিডিফায়ার চালিয়ে রাতে ঘুমানো যায়৷ এটাই দেখবেন ছোট্ট টির শরীল টনসিলায় কিসের নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারছে৷

তুলসী ও মধুর মিশ্রণ

আপনার সন্তানের টনসিলের সমস্যা কমাতে তুলসী ও মধুর মিশ্রণ তাকে খাওয়াতে পারেন৷ আসলে তুলসীতে রয়েছে প্রদাহ কমানো ক্ষমতা৷ অপরদিকে মধুতে আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টিজ৷ তাই মধু ও তুলসীর মিশ্রণ খাওয়ালে সন্তানের গলা ব্যথার সমস্যা কমতে সময় লাগবে না৷ এক্ষেত্রে এক চামচ মধুতে এক থেকে দুটি তুলসির পাতা মিশিয়ে সন্তানকে খাইয়ে দিন৷ এভাবে দিনে দুবার খাওয়ান৷ এতে দেখবেন আপনার সন্তান দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছে৷বাচ্চাদের টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না

বাড়াবাড়ি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া

যদি দেখেন এই কয়েকটি পরিস্থিতি তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ফেলায় বুদ্ধিমানের কাজ যেমন
  1. জ্বর কমছে না
  2. গলা ব্যথা 48 ঘন্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও রয়ে গিয়েছে
  3. সন্তানকে ক্লান্তি গ্রাস করছে
  4. গলা খুব ফুলে গেছে
  5. গলা ব্যাথার ধরণ সন্তান একদমই খেতে পারছে না
এই ধরনের পরিস্থিতিতে আর অপেক্ষা করা চলবে না৷ বরং যত দ্রুত সম্ভব শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের এপয়েনমেন্ট নিয়ে আপনার সন্তানকে ডাক্তার দেখিয়ে ফেলুন৷

শেষ কথা:বাচ্চাদের টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না

আশা করি আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সকলে বাচ্চা থেকে টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না তা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন৷ উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষাপটে আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা কোন গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানানোর থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্স কমেন্ট করুন অথবা আমাদের যোগাযোগ পেজে যোগাযোগ করুন৷
বাচ্চাদের-টনসিল-হলে-কি-কি-খাওয়া-যাবে-না

আমাদের আজকের পোস্ট টি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনার পরিবার এবং পরিজনের সকলের টনসিল হলে কি খাওয়া উচিত হলে কি কি সমস্যা হয় বাচ্চাদের টনসিল কেন হয় লক্ষণ বাচ্চাদের টনসিলের ঘরোয়া চিকিৎসা এবং করণীয় সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য গুলো জানার সুযোগ করে দিন৷" ধন্যবাদ"

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url